পুলিশ এস্কর্ট না থাকায় বন্দি স্থানান্তর করতে পারছেনা কারা কর্তৃপক্ষ
ইসমাঈল ইমু : [২] ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের চীফ রাইটার কামরুজ্জান ফারুকের বিরুদ্ধে কারাভ্যন্তরে নগদ টাকার অবৈধ লেনদেন, মাদক বিক্রি ও সমকামিতাসহ নানা অভিযোগ ওঠার পর তাকে অন্য কারাগারে স্থানান্তরের পরিকল্পনা গ্রহণ করে কারা কর্তৃপক্ষ। কিন্তু পুলিশ এস্কর্ট না পাওয়ায় তাকে স্থানান্তর করা যাচ্ছে না।
[২] এ বিষয়ে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার মাহবুবুল ইসলাম বলেন, এ ধরনের অভিযোগ তারা শুনেছেন। তবে তাকে অন্য কারাগারে স্থানান্তর করতে পুলিশ এস্কর্ট না পাওয়ায় করা যাচ্ছে না। পুলিশ এস্কর্ট পেলেই তাকে স্থানান্তর করা হবে।
[৩] সদ্য কারামুক্ত একজন বন্দির স্ত্রীর অভিযোগ, কারাগারে ঢোকানোর পরই কামরুজ্জান ফারুক তার স্বামীকে বলেন, ভাই আপনি জেলে থাকতে পারবেন না। অনেক নোংরা, বিছানা নাই, বাথরুমের পাশে থাকতে হবে। কর্নফুলির ৩ তলায় থাকেন, মাত্র ৫ হাজার টাকা দিলেই হবে। স্বামী রাজি হলে প্রতি সপ্তাহে টাকা দিতেন তিনি। এছাড়াও অনেক বন্দির কাছ থেকে নানা অযুহাতে টাকা নেয়ার অভিযোগ রয়েছে ফারুকের বিরুদ্ধে
[৪] এদিকে নতুন আইজি প্রিজন্স যোগদানের পর থেকে নড়েচড়ে বসেছে কারা প্রশাসন। কেন্দ্রীয় কারাগারের ভেতরে ও বাইরের বাণিজ্য কমেছে। বন্দিদের সাক্ষাৎ বন্ধ থাকায় কারারক্ষীদের অবৈধ আয়ও বন্ধ হয়ে গেছে। তবে কারাগারকে সংশোধনাগারে পরিনত করতে কাজ করছেন নতুন আইজি প্রিজন্স ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মমিনুর রহমান মামুন।
[৫] কারাগারের জেল সুপার সুভাষ কুমার ঘোষ বলেন, আগে এ সমস্যা ছিল। কিন্তু বর্তমানে কিছুটা লাঘব হয়েছে।
https://www.amadershomoy.com/bn/2020/11/19/1246755.html
0 মন্তব্যসমূহ