বগুড়া জেলা কারাগার চত্বরে ড্রেন থেকে কারারক্ষী একরামুল হকের মাথায় আঘাত করা লাশ উদ্ধারের দুদিনেও কিনারা হয়নি। কারা আইজির নির্দেশে ডিআইজি প্রিজনের নেতৃত্বে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। সন্দেহভাজন কারারক্ষী মামুন হোসেনের ডোপ টেস্ট পজিটিভ হয়েছে। নিহতের স্বজনরা দাবি করছেন, মামুন বিভিন্ন সময় একরামুলের কাছে টাকা ধার নিতেন। এটিএম কার্ড চুরি করে বুথ থেকে টাকা তুলতেন। তিনি এখনো একরামুলের মোবাইল ফোনের সিম ব্যবহার করছেন। তারা এ ঘটনাকে কারা কর্তৃপক্ষের অবহেলায় হত্যা দাবি করে শিগগিরই আদালতে মামুনসহ অন্যদের বিরুদ্ধে মামলা করবেন।
কারাগারের একটি সূত্র জানায়, একরামুলের পরিবারের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে শনিবার বগুড়া শজিমেক হাসপাতালে রক্ষী মামুনের ডোপ টেস্ট করা হয়। চিকিৎসকরা পজিটিভ রিপোর্ট দিয়েছেন। তবে এ ব্যাপারে জেল সুপার ও অন্য কর্মকর্তারা মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানান।
সূত্র জানায়, বুধবার রাত ১টা থেকে ৩টার পর্যন্ত ২নং ফটকে একরামুলের আরপি ডিউটি ছিল। রাত ৩টায় দায়িত্ব বুঝে নেওয়ার কথা থাকলেও অজ্ঞাত কারণে মামুন ডিউটিতে আসেননি। জেলার ফরিদুর রহমান রুবেল জানান, বৃহস্পতিবার বেলা ২টার দিকে হারেজ নামে এক হাবিলদার তাকে জানান, একরামুলকে কোথাও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে রক্ষী মামুন জানান, একরামুলের লাশ কালভার্টে পড়ে আছে। মামুন ডিউটিতে না এলেও বিষয়টি তাকে জানাননি।
এ ব্যাপারে মামুন হোসেন জানান, মায়ের সঙ্গে ঝগড়ার কারণে তিনি অসুস্থ ছিলেন। তাই ডিউটিতে আসতে পারেননি। তবে তিনি ডিউটি কলার জুয়েলকে না আসার কারণ বলেছেন। এছাড়া তিনি আর কিছু জানেন না।
0 মন্তব্যসমূহ