সর্বশেষ আপডেট

3/recent/ticker-posts

Header Ads Widget

Responsive Advertisement

পরিত্যাক্ত কারাগারকে ২য় ইউনিট হিসেবে ব্যবহারে সরকার ও কারা কর্তৃপক্ষের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ

 


সরকার ও কারা কর্তৃপক্ষের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ ঃ

পরিত্যাক্ত কারাগারকে ২য় ইউনিট হিসেবে ব্যবহার
কারাগার রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা।যা এক সময় ইতিহাস ও কালের স্বাক্ষী হয়ে যায়।বাংলাদেশে নূতন নূতন কারাগার নির্মৃাণ করা হচ্ছে প্রয়োজন অনুযায়ী।পূরণো কারাগার পরিত্যাক্ত ঘোষনা করার পর সেখানে বেসরকারিভাবে নানারকম কাজ-কারবার চোখে পড়ে।হয়তো একসময় এগুলো ধ্বংস ও বিকৃত রুপ ধারন করবে।যেমন:চাপাইনবাবগঞ্জ উপ-কারাগার(যেখানে ইলামিত্র আটক ছিলেন),নওগাঁ কারাগার,মাগুরা,সাতক্ষীরা,নাটোর ইত্যাদি।যে কারাগারগুলো ব্যবহার উপযোগি সেখানে বন্দি রাখার বিষয় ভাবা যেতে পারে।একই শহরে একাধিক কারাগার থাকতে তো সমস্যা নেই,একই ব্যবস্থাপনার আওতায় দুচি ইউনিট করা যায়্।দিন দিন জনসংখ্যা বৃদ্ধির সাথে তাল মিলিয়ে অপরাধি-বন্দির সংখ্যা বেড়েই চলছে। দেশের বিভিন্ন শহরে দেখা যায়,পুলিশ বিভাগের বিভিন্ন স্থাপনা যেমন, থানার সীমানা প্রাচীর ভেঙ্গে দোকান-পাট বানানো হয়।ফাঁড়ির ফাঁকা মাঠের ওপর পুলিশ প্লাজা নাম দিয়ে বহুতল ভবন তৈরির বিলবোড লাগানো হয়েছে।পুলিশ নারী কল্যাণ(পুনাক) সমিতির দোকান ইত্যাদি চোখে পরে।পুলিশের স্থাপনার মধ্যে স্কুল,কলেজসহ নানা প্রতিস্ঠান গড়ে নিজেদের সন্তানদের স্বল্প্ খরচে পড়াশুনা করাচ্ছে।এ থেকে অায় করে উন্নয়ন ও কল্যাণমূলক কাজ করছে।পুলিশ সদর দপ্তরে পুলিশ কল্যাণ ট্রাস্টের অফিস আছে। পরিত্যাক্ত কারাগারের প্রাচীরের সুরক্ষিত জায়গায় ও বাইরে স্কুল,কলেজ,কারিগরি প্রতিষ্ঠান, ডেইরি ফার্ম,আবাসিক হোটেল,রেস্টুরেন্ট-খাবার দোকান, পোল্ট্রী,কৃষিভিত্তিক শিল্প,কুটির শিল্প,গারমেন্টস শিল্প ইত্যাদি স্থাপন করা যায়।সশ্রম সাজাপ্রাপ্ত আসামিদের এই সমস্ত উৎপাদনমূখি কাজে নিয়োজিত করে পূণর্বাসনসহ সামাজিকীকরণের উদ্যোগ গ্রহনের ক্ষেত্র তৈরি করা সম্ভব। সম্ভাবনাময়,দক্ষ ও প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত বন্দির দ্বারা এবং আউট সোর্সিং এর মাধ্যমে যুবক-যুবতীদের দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ পরিচালনা করা যেতে পারে।কারাকর্মকর্তা ও কারারক্ষিদের স্ত্রী-পরিজন এই সমস্ত প্রকল্পে কাজ করে আর্থিকভাবে লাভবান হতে পারেন।একইসাথে কারাগারগুলোও সংরক্ষণ করা সম্বব হবে। সরকারের এসএমই ফাউন্ডেশন,বিসিক,বাংলাদেশ ব্যাংকসহ বিভিন্ন অর্থলগ্নিকারি প্রতিষ্ঠানসহ অসংখ্য সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান একাজে সহায়তায় এগিয়ে আসবে।শুধু দরকার পরিকল্পণা,দক্ষ ব্যাবস্থাপনা,ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি ও পদক্ষেপ গ্রহন।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ