কারাগারকে সংশোধনাগার হিসেবে গড়তে নানামুখী উদ্যোগ, ঢাকায় হচ্ছে বন্দীদের হাতে বানানো পণ্যের শো-রুম
মোঃ আনিসুল হক:কারাগার এখন কেবল বন্দিশালা নয়, বরং সংশোধনাগার হিসেবে গড়ে তুলতে নানা উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। কয়েদিদের দেওয়া হচ্ছে উপার্জনমুখী প্রশিক্ষণ। তাদের দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে তৈরি করা হচ্ছে বাহারি রকমের গৃহস্থালি পণ্য। দেশের বিভিন্ন কারাগারে হাজার হাজার বন্দিদের হাতে তৈরি করা এই কারা পণ্য নতুন সম্ভাবনার উজ্জ্বল এক দৃষ্টান্ত হয়ে উঠছে। এই কার্যক্রমের পরিধি আরো বাড়ালে দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশেও রফতানি করা যাবে বলে মনে করছে কারা কর্তৃপক্ষ। [৩] ‘রাখিব নিরাপদ দেখাব আলোর পথ’ স্লোগান বাস্তবায়নে কারা কর্তৃপক্ষ সাজাপ্রাপ্ত কয়েদিদের ঢাকা আহছানিয়া মিশনের সহযোগিতায় হস্তশিল্পসহ নানা বিষয়ে প্রশিক্ষণ দিয়ে স্বাবলম্বী করে তুলছেন। [৪] কয়েদি পুরুষ ও মহিলাদের তাঁত, রান্না, সেলাই, ইলেকট্রিক অ্যান্ড হাউজ ওয়্যারিং, লন্ড্রি, বেকারি, নার্সারি, বিউটি পার্লার ও কুটিরশিল্পের বিভিন্ন কাজ শেখানো হচ্ছে। এই প্রশিক্ষণ নিয়ে কয়েদিরা কাঠ, বেত, বাঁশ, তাঁত, সুতা ও বিভিন্ন ধরনের উপকরণ দিয়ে তৈরি করছে ছোট-বড় মোড়া, চেয়ার, ঝুড়ি, বাঁশের দোলনা, কলমদানি ও বেতের ঝুড়িসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় অনেক ব্যবহারিক সামগ্রী। [৫] কারা মহাপরিদর্শক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মমিনুর রহমান মামুন বলেন, নারায়ণগঞ্জসহ ১০ টি কারাগারের সামনে বন্দিদের তৈরি পণ্যের শো-রুম রয়েছে। ঢাকায়ও একটি শোরুম করার পরিকল্পনা রয়েছে। ইতিমধ্যে জামদানি শাড়ী তৈরী করে ব্যাপক সাড়া পড়েছে বিভিন্ন মহালে। কারাগারে যেসব বন্দি পণ্য তৈরিতে দক্ষ হয়ে উঠছে তাদের দিয়ে বিভিন্ন কারাগারের বন্দিদের প্রশিক্ষণ দেয়া হবে।
http://amadernotunshomoy.com/newsite/2020/11/18/%E0%A7%A7%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%97%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%95%E0%A7%87-%E0%A6%B8%E0%A6%82%E0%A6%B6%E0%A7%8B%E0%A6%A7%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A6%97%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%B9/#.X7S9SmhKgdU
0 মন্তব্যসমূহ