সর্বশেষ আপডেট

3/recent/ticker-posts

Header Ads Widget

Responsive Advertisement

জালিয়াতি করে ‘মঈন’ নাম নিয়ে ২২ বছর কারারক্ষীর চাকরি করেছেন তাজুল

২০০১ সালে কারারক্ষী পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির বিপরীতে মঈন ও তাজুল দুজনেই আবেদন করেছিলেন। তাজুল পরীক্ষায় অনুত্তীর্ণ হন। আর মঈন কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারে শারীরিক ফিটনেস, লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা দিয়ে উত্তীর্ণ হন।

র‍্যাব অধিনায়ক মেজর মোহাম্মদ সাকিব হোসেন জানান, তাজুল তাঁর দুই সহযোগীকে নিয়ে মঈনের বাড়িতে যান। তাঁরা নিজেদের কারা কর্তৃপক্ষের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলে দাবি করেন। তাঁরা মঈনের কাছে, ১০ লাখ টাকা দাবি করেন। অন্যথায় নিয়োগ হবে না বলে জানান। তখন মঈন বলেন, ঘুষ দিয়ে তিনি চাকরি করবেন না। তাজুল ও তাঁর সহযোগীরা এরপর চলে আসেন।

একপর্যায়ে সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারের উপমহাপরিদর্শক মাধবপুর উপজেলার শাহজাহানপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যানের কাছে একটি চিঠি দেন। এতে কারারক্ষী মঈন উদ্দন খান সেখানকার স্থায়ী বাসিন্দা কি না, তা জানতে চান। ইউপি চেয়ারম্যান জবাবে জানান, মঈন উদ্দিন খান কারারক্ষী নন। তিনি তাঁদের এলাকার ছেলে, ওষুধ ব্যবসায়ী।

কারা কর্তৃপক্ষের এসব তৎপরতা জানতে পেরে তাজুল ইসলাম ২০২১ সালের ১৫-২০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ছুটি নেন। এর পর থেকে তিনি আর যোগদান করেননি।

এদিকে মঈন উদ্দিন খান তাঁর চাকরিবঞ্চিত হওয়ার বিষয়টি জানতে পেরে গত বছরের ২৫ সেপ্টেম্বর তাঁকে চাকরি দেওয়ার জন্য কারা কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করেন। একপর্যায়ে চাকরি না পেয়ে তিন আদালতের দ্বারস্থ হন। এরপর কারা কর্তৃপক্ষ বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু করে। ২০২১ সালের ২০ নভেম্বর প্রতারক তাজুল ইসলামকে তদন্ত কমিটি ডাকে। কিন্তু তদন্ত কমিটির সামনে হাজির হননি তাজুল। প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে চাকরি করার অভিযোগে গত ৪ আগস্ট সিলেটের জালালাবাদ থানায় মামলা করে কারা কর্তৃপক্ষ। পরে কারা কর্তৃপক্ষ এ নিয়ে র‍্যাবের সহযোগিতা কামনা করে। ১২ জানুয়ারি তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে তাজুলের অবস্থান শনাক্ত করে তাঁকে কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া বাজার থেকে গ্রেপ্তার করে র‍্যাব।

এই জালিয়াতির বিষয়ে র‍্যাব দপ্তরে তাজুল ইসলামকে গণমাধ্যমকর্মীরা প্রশ্ন করলে তিনি কোনো মন্তব্য করেননি। মেজর মোহাম্মদ সাকিব হোসেন বলেন, তাজুলকে মামলার তদন্ত কর্মকর্তার কাছে হস্তান্তর করা হবে।



একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ